শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক: বাংলাদেশ যুব মৈত্রী রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে রাজশাহী-২ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী জননেতা ফজলে হোসেন বাদশাকে জয়ী করার লক্ষ্যে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা কর্মসূচির উদ্বোধনী সমাবেশে এই আহ্বান জানান যুব মৈত্রীর নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর রাজশাহী মহানগর সভাপতি মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলামের সঞ্চালণায় উক্ত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বাহ্ আলী খান কলিন্স। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু, রাজশাহী জেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য নাজমুল করিম অপু, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল মোতালেব জুয়েল, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আকতার অনিক, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক বকুল, জেলা সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর রাজশাহী মহানগর সভাপতি এএইচএম জুয়েল খান, রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক স¤্রাট রায়হান নিলয়, বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর কেন্দ্রীয় ক্রিড়া সম্পাদক ইকবাল বাহার অনিক, মহানগর রাজশাহী মহানগর যুব মৈত্রীর সহসভাপতি মাসুম রেজা বিদ্যুৎ, সহসভাপতি মিজানুর রহমান টুকু, ক্রিড়া সম্পাদক কালাম হোসেন প্রমুখ।
এসময় উদ্বোধনী কর্মসূচির প্রধান অতিথি সাস্বাহ আলী খান কলিন্স বলেন,“একটি মৃত্যু উপত্যকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আমাদের মা ও মাতৃভুমি বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ৭৫’এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরকে হত্যার মধ্যদিয়ে আবার বাংলাদেশ উল্টা পথে হাটতে শুরু করেছিল। মাঝে বহু ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। কিন্তু উন্নয়নশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গিয়েছিল। কিন্ত ১/১১ এ জামাত-বিএনপির পৈশাচিক গুলিতে নিহত বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর শহীদ রাসেল বাংলাদেশকে ঘুওে দাড়ানোর পথ দেখিয়ে যায়। ২০০৮ সালে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই সক্রিয় হয়ে উঠে সরাসরি বিএনপির রাজনৈতিক ও আদর্শিক জঙ্গিবাদী সংগঠন জামাত-শিবির এবং অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা, যা দেশবাসী আজও ভুলে যায়নি। সে সময় পেট্রোল বোমার আঘাতে নিহত-আহতের অংক এবং মর্মান্তিকতা আমাদের ৭১’এ ফিওে নিয়ে গিয়েছিল। আওয়ামী নেতৃত্বাধীন সরকার শক্তহাতে এই অগ্নিসন্ত্রাসকে প্রতিহত করে আজকে দেশকে এনে দিয়েছে সমৃদ্ধি। খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান এবং নিরাপত্তার মত মৌলিক অধিকারকে সুনিশ্চিত করেছে। রাজশাহী সদর এই উন্নয়নের বাইরে ছিল না, রাজশাহী আজ সারাদেশে উন্নয়নের জন্য সুখ্যাত এবং বিশ্বস্বীকৃত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজশাহীর চলমান উন্নয়নের ধারাকে নিশ্চিত করতেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং বাংলাদেশের জঙ্গিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন কন্ঠস্বর রাজশাহীর গণমানুষের নেতা ফজলে হোসেন বাদশাকে আবারও নৌকা মার্কায় জয়ী করতে হবে। আর সে লক্ষ্যে তরুন প্রজন্মেকে অবশ্যই ভোট নৌকায় দিতে হবে।”
ওাজশাহী মহানগর ওয়ার্র্কার্স পার্টিও সাধারণ সম্পাদক বলেন,“বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকেই রাজশাহী শহর ছিল বঞ্চিত। বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু রাজশাহীতে তিন তিনবারের মেয়র, একবার সংসদ সদস্য ছিলেন। তার সময়ে রাজশাহী বিভাগীয় শহর হওয়ার পরেও গ্যাস রাজশাহীতে না এসে, গিয়েছিল বগুড়ায়। আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম রাজশাহীতে না হয়ে, হয়েছে বগুড়াতে, শিল্পায়ণেও রাজশাহী বগুড়ার কাছে পিছিয়ে পড়েছিল। রাজশাহীর কলকারাখানাগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা হয়ে পড়েছিল। ২০০৮ সালে রাজশাহী-২ আসনে জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সমন্বয় করে যৌথ উদ্যোগে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করেছেন, বন্ধ থাকা কল-কারখানাগুলোকে চালু করেছেন, নতুন করে ট্যানারি প্রকল্প গ্রহন করেছেন, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছেন, প্রতিটা মসজিদ-মন্দিরে অনুদান দিয়েছেন, গ্রন্থাগার নির্মাণ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ ইফনিট নির্মাণ, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারিকরণ করেছে, নির্মাণ করেছেন স্থায়ী শহর রক্ষা বাঁধ, টিআর-কাবিখা লুটপাট না করে বরং পৌছে দিয়েছেন মানুষের দুয়াওে, শহরের শোভা বর্ধণে বিভিন্ন পয়েন্টে লাইটিং করেছেন। এমন হাজারো উন্নয়নের ছোঁয়া রাজশাহী আজ শুধু দেশেই নয়, বিশ্বেও সমাদৃত। এসব সম্ভব হয়েছে জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা এবং সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের প্রচেষ্টায়। তাই উন্নয়নের এই ধারাকে জয়ী করতে হবে। নইলে সততা ও নিস্বার্থ জনসেবা করার পথ পরবর্তী প্রজন্ম আগ্রহ হারাবে।”
এসময় উক্ত প্রচারণা কর্মসূচির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন,“বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর উদ্যোগে এই প্রচার কর্মসূচি নির্বাচনি প্রচারণার শেষদিন পর্যন্ত চলবে।” রাজশাহীর উন্নয়নের স্বরূপ তুলে ধরতে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাজশাহীর উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে উক্ত কর্মসূচিতে রাজশাহীর সর্বস্তরের মানুষকে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি করেন। সমাবেশ শেষে রাজশাহী হরিপুর, জাহাজঘাট এলাকায় প্রচারণা চালায় সংগঠনটি।